শরীর নিজেই কি নিজের চেয়ে বেশি বয়সী হয়ে যায়?

বিভাগ:

আনুষ্ঠানিক বয়স আর শরীরের আসল বয়স হয়তো অনেকেরই আলাদা! এসব ক্ষেত্রে কাগজে লেখা বয়স কম, আর শরীরের বয়স বেশি। কিন্তু শরীর নিজেই কি নিজের চেয়ে বেশি বয়সী হয়ে যায়? সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ৪০ বছরের শরীর ৪০ বছরের চাইতেও বেশি বুড়িয়ে যায়! ৬০ বছরের শরীর হয়ে যায় ষাটোর্ধ! 

ছবি: জর্জ রোয়ান

এই দুই বয়সে শরীরের জন্য সহায়ক অণুজীব ও শরীর রক্ষাকারী কণিকাগুলোর সংখ্যাগত পরিবর্তন যেমন ঘটে তেমন দ্রুত হারে পাল্টে যায় এদের প্রকৃতি। দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া বাদ যায় না পুরুষও!

বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেমন হৃদরোগের প্রবণতা বাড়ে তেমনি কমে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু এই প্রবণতা বয়সের সাথে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাড়ে বা কমে না। দুই বয়সে পরিবর্তন খুব দ্রুত গতিতে হতে দেখা যায়। ৪০ বছর বয়সের পরে হৃদরোগের প্রবণতা যেমন দ্রুত হারে বেড়ে যায় তেমনি ষাটের পরে দ্রুত হারে কমতে থাকে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। 

গবেষকরা ২৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন, যেসব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক মানুষের শরীরে এবং ত্বকে বসবাস করে তাদের বেশিরভাগের সংখ্যাগত তারতম্য  শরীরের সংখ্যাগত বয়সের সঙ্গে মিল রেখে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় না। শরীররের  উপদানগুলোও বয়সের সঙ্গে ক্রমহারে বাড়ে বা কমে না। খুব দ্রুত এই পরিবর্তনগুলো বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যায় ৪০ বছর ও ৬০ বছর বয়সীদের।

নেচার এজিং সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, গবেষণার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের রক্ত, ত্বক, মুখ ও নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। গড়ে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদেরকে গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত রাখা হয়েছিল। 

বার্ধক্যসুচক পরিবর্তনগুলো নারীর ক্ষেত্রে যেমন চল্লিশের পর দ্রুত হতে দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রেও সেটা হয়। আগে ধারণা করা হতো প্রজনন সক্ষমতা হারানোর সূত্রে শুধু নারীরই চল্লিশের পর দ্রুত শারীরিক পরিবর্তন হয়।