হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তামিলনাড়ুতে ক্ষোভ

লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া তাদের ওয়েবসাইটটির হিন্দি সংস্করণ দেখাতে শুরু করেছিল। হিন্দিভাষী নয় এমন নাগরিকদের জন্য আগে ইংরেজি সংস্করণও ছিল। সংস্থাটির ওয়েব সাইটের এমন অবস্থায় দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদরা অভিযোগ করেন, তাদের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

LIC in Hindi
ছবি: এলআইসি

এলআইসির ওয়েবসাইটে ভাষা নির্ধারণের সুযোগ আছে। কিন্তু অভিযোগকারীরা বলছেন, ভাষা পরিবর্তন করে হিন্দি থেকে ইংরেজি করতেও হিন্দিতে নোটিফিকেশন দেখানো হয়েছে। খোদ ভাষা পরিবর্তনের তথ্যও হিন্দিতে লেখা। তামিল অঞ্চলের মানুষ ইংরেজিতে ওয়েবসাইটের তথ্য দেখতে না পেয়ে বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। এলআইসি হিন্দিভাষী নয় এমন নাগরিকদের কথা মাথায় রাখছে না মর্মে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে এই ঘটনার রেশ টানে আরও দূর। সাবেক ও বর্তমান দুই মুখ্যমন্ত্রী একে হিন্দির আগ্রাসন হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এর জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। 

ঘটনা সামনে আসার পর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন তার আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এলআইসির ওয়েবসাইট হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রোপাগান্ডা টুল হয়ে উঠেছে। এমনকি ইংরেজি ভাষা নির্ধারণ করার নোটিসও হিন্দিতে দেখানো হচ্ছে। এটা গায়ের জোরে ভাষা-সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়, যা ইন্ডিয়ার বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবে।

এলআইসি অহিন্দিভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠদের উপেক্ষার দুঃসাহস কিভাবে দেখিয়েছে প্রশ্ন রেখে স্ট্যালিন দাবি করেন ভাষা নিয়ে অত্যাচার বন্ধ করার। ডেকান হেরাল্ড লিখেছে, তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপি যখনই সুযোগ পায় তখনই সবার উপরে এক ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। 

লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া পরবর্তীতে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ভাষার সংস্করণ দেখাচ্ছিল না। ত্রুটিটি সংশোধন করা হয়েছে। ১৯ নভেম্বরের শেষের দিকে দেখা গেছে, ওয়েবসাইটটিতে ইংরেজি সংস্করণ কার্যকর হয়েছে। সেইসাথে পছন্দের ভাষার তালিকায় রয়েছে হিন্দি ও মারাঠি।

লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর হেডকোয়ার্টার মুম্বাইতে। সংস্থাটি ও এর সঙ্গে যুক্ত সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্ডিয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাদের মধ্যে রয়েছে ইউকে ও সৌদী আরবের মতো দেশ