দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এ পরিস্থিতির জন্য তিনি দেশটির বামপন্থীদের দায়ী করেছেন। প্রেসিডেন্টের মতে, জরুরি অবস্থা জারি না করলে দেশটিতে সরকারের পতন ঘটতে পারে। জরুরি অবস্থা জারির পর দেশটির মুদ্রার দরপতন হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর রাতে দেওয়া এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সরকার এর জন্য ‘উত্তর কোরিয়ার’ সমর্থক বামপন্থীদের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল ২০২২ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিন বছর মেয়াদে। নির্বাচনে তার দল ‘পিপল পাওয়ার পার্টি’ সামান্য ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে। সংসদে বিরোধী দলের শক্তিশালী উপস্থিতি আছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ইউন সক ইয়ায়ের। জরুরি অবস্থা জারির জন্য তিনি সংসদের বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদদের দায়ী করেছেন। তার অভিযোগ উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল বামপন্থীরা সরকার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
গার্ডিয়ান লিখেছে, সামরিক প্রশাসক পার্ক আন সু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন এবং একই সঙ্গে সংবাদপত্রের ওপর সেন্সরশিপ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সামরিক শাসনেও বিরোধী সংসদ সদস্যদের গ্রেফতারের সুযোগ তিনি পাবেন না।
জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে সরকারি দলের ভেতরেই ভিন্নমতের উপস্থিতি রয়েছে। হান ডং হুন সরকারি দলের দলীয় প্রধান। তিনি জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা ই জে মিয়ং প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ ও অসাংবিধানিক’ ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সংবিধান জরুরি অবস্থাতে সংসদ সদস্যদের গ্রেফতারের ক্ষমতা রহিত করেছে। এছাড়াও সংসদ সদস্যরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন। তারা বিরুদ্ধে ভোট দিলে জরুরি অবস্থা কার্যকারিতা হারায়।