নেটফ্লিক্সে মরিয়ম, ইসরায়েলি প্রভাবের অভিযোগ

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মেরি। যিশুখ্রিস্টের জন্ম ও তার মায়ের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আবর্তিত চলচিত্রটির কাহিনী। পরিচালক মনে করেন, মরিয়মকে নিয়ে আগে চলচিত্র হলেও তার নির্মিত মেরি চলচিত্রে মরিয়মের এক ভিন্ন আত্মবিশ্বাসী রূপ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে সমালোচকরা মনে করছেন, যিশুর জন্মের সঙ্গে জড়িত স্থান ফিলিস্তিনকে ধ্বংসকারী ইসরায়েলের রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে নেটফ্লিক্সের মেরিতে।

মেরি
ছবি: নেটফ্লিক্স

ঈশ্বরের আদেশে গর্ভধারণ ও বেথেলথেমে জন্মের পর যিশুকে নিয়ে কিভাবে মরিয়ম তার জীবনের পরবর্তী সময় সংগ্রাম করেন নেটফ্লিক্সের মেরির উপজীব্য সেটাই। নিউ ইয়র্ক পোস্ট লিখেছে, চলচিত্রটির সমালোচনার কারণগুলোর একটি ইসরায়েলি অভিনেতাদের নেওয়া এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগের শ্বেতাঙ্গ হওয়া।

মেরির কেন্দ্রীয় চরিত্র মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নোয়া কোহেন। তিনি ইসরায়েলি। নোয়া ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয়কারীদের মধ্যে রয়েছেন ইসরায়েলি ইদো ট্যাকো, অরি ফেফার, মিলি আভিতাল, কেরেন সুর, হিলা ভিদোর। অত্যাচারী রাজা হেরোডের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্কার জয়ী শ্বেতাঙ্গ অভিনেতা স্যার অ্যান্থনি হপকিন্স। এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৬ ডিসেম্বর।

এক্স হ্যান্ডেলে সমালোচকরা বলেছেন, যেখানে গাজা জুড়ে ইসরায়েল হামলা করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, সেখানে যিশু ও তার মায়ের ফিলিস্তিনি পরিচয় মুছে দিয়ে তাদেরকে ইসরায়েলি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ ইসরায়েলের হামলায় যিশুর জন্মস্থান বেথেলহামও আক্রান্ত। অন্যদিকে এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিকে মেরির পরিচালক বলেছেন, সেই সময়কার প্রেক্ষিতকে ফুটিয়ে তুলতে ইসরায়েলের অভিনীত-অভিনেত্রীদের নেওয়া হয়েছে।